এমনটি বোধহয় ব্রাম স্টোকার নিজেও কখনওই ভাবতে পারেননি। আর ভাববার মত কথাও নয়। কিন্তু কেউ না ভাবলেও একটু অন্যরকম করে ভেবে দেখিয়েছেন ভারতের গুজরাট সরকার। ভারতের গুজরাট সরকারের গরুসেবা এবং গরুর আচার ব্যবহার পর্যাবেক্ষনকারী বোর্ডের দাবি, ড্রাকুলা-র হাত থেকে রক্ষা করতে পারে গোমূত্র।
বোর্ডের পরামর্শ সম্বলিত সাহিত্য গ্রন্থ ‘আরোগ্য গীতা’য় গরুর মূত্রের উপকারিতা বলতে গিয়ে জানানো হয়েছে যে, হিন্দু ধর্মে গরুর মূত্র পবিত্র পানীয় হিসেবে বিবেচিত। গরুর মূত্র ছিটিয়ে দিলে ড্রাকুলা ও শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আইরিশ লেখক স্টোকার ১৮৯৭ সালে কাউন্ট ড্রাকুলা নামে এক কাল্পনিক চরিত্রের অবলম্বনে লেখেন ‘ড্রাকুলা’ নামে এক উপন্যাস। প্রবল জনপ্রিয়তার কারণে খুব শিগগিরই কিংবদন্তির সারিতে ঢুকে যায় ওই উপন্যাসের নাম। তবে গরুর মূত্রের উপকারিতা বোঝাতে এই কাল্পনিক চরিত্রের নাম টেনে আনায় বিস্মিত হয়েছে অনেকেই।
বোর্ডের পক্ষ থেকে বইটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ড্রাকুলা এবং অন্য ভূতপ্রেতের দাপটে অনেক রোগ হয়। নিয়মিত গরুর মূত্র সেবন করলে সেই ড্রাকুলারা দূরে থাকবে। শরীরও সুস্থ থাকবে।’ যদিও সমালোচনার ঝড় উঠার পরেও নিজেদের অবস্থান থেকে নড়ছে না বোর্ড।
বোর্ডের চেয়ারম্যান বল্লভ কাঠিরিয়া বলেছন, ‘অনেকেই ভূতপ্রেতে বিশ্বাস করেন না। তবে বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। কী তথ্য সামনে উঠে আসবে, সেটা তো আর আগে থেকে বলা যায় না।’
বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর,২০১৬/তাফসীর