২০১৪ সালে উত্তর ইরাকে হামলা চালিয়ে কুর্দভাষী কয়েক হাজার নারী এবং শিশুকে বন্দি করেছিল আইএস জঙ্গিরা। ধাপে ধাপে এখন তাদেরকেই মোটা দামে বিক্রি করছে আইএস। প্রথমদিকে আইএসের হাতে বন্দি বেশ কিছু নারী এবং শিশুদের কুর্দ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপনে বের করে আনা হয়েছিল। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, ততই আইএসের নজরদারি কড়া হয়েছে।
হাতেগোনা কয়েকজন পালিয়ে আসতে পারলেও, পালাতে গিয়ে অনেক শিশু এবং কিশোরীর মৃত্যুও হয়েছে। লামিয়া আজি বাশার নামে ১৮ বছরের একটি মেয়ে চারবারের চেষ্টায় পালাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু পালানোর সময়ে একটি ল্যান্ডমাইন ফেটে তাঁর দুটি চোখই নষ্ট হয়ে যায়। মুখের একাংশের চামড়া পুড়ে যায়। তার সঙ্গে পালাতে গিয়ে ৮ বছরের আলমাস এবং ২০ বছরের ক্যাথেরিন নামে দু’জনের মৃত্যু হয়।
আইএস'র অধীনে থাকার সময়ে নারকীয় অত্যাচারের মুখে পড়তে হয় লামিয়াকে। তাকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় পাচারকারীকে প্রায় ৮০০ ডলার দিতে হয় লামিয়ার পরিবারকে। কিন্তু এভাবে যে পাচারকারীরা নারী অথবা শিশুদের উদ্ধার করে আনছেন, ধরা পড়লে তাদেরকেও হত্যা করছে আইএস জঙ্গিরা।