আগেই অভিযোগ করেছিলেন পাড়ার এক কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে তার কয়েকজন প্রতিবেশী। দেহটি নিজেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করাতে চেয়েছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ‘হত্যাকারী’দের বাধাতেই পিছু হটতে হল ভারতের সোনারপুরের দক্ষিণ জগদ্দলের বাসিন্দা জন্টিকে।
কেএমডিএ’র কর্মী জন্টি বলেন, রবিবার সকালে খবর পাই, পাড়ার একটি বাড়িতে একটি কুকুর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি ওই বাড়িতে গিয়ে কুকুরটিকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেই বুঝেছিলাম, বিষ খাইয়ে মারা হয়েছিল ওকে।
এ নিয়ে রবিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। পাশাপাশি, ওইদিনই তিনি গাড়ি ভাড়া করে ব্লক অফিসে দেহটি নিয়ে গিয়েছিলেন ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় পশুচিকিৎসক ছিলেন না। এরপর কুকুরটির দেহ নিজের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন।
জন্টি জানান, সারারাত পাহারা দিয়ে সোমবার সকালে কুকুরটির দেহ একটি গাড়িতে তুলতেই বাধা দেন ওই কুকুরের ‘হত্যাকারী’রা। তখন ফের দেহটি নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। জন্টি বলেন, ‘‘আমাকে ওরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি দেয়। ওরা আমাকে দেহটি ব্লক অফিসে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমি দেহটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে যাই। তারপর পুলিশকে খবর দিই।’’
তিনি আরও জানান, এরপর পুলিশ এবং কয়েকজন বন্ধুর পরামর্শে শেষ পর্যন্ত দুপুরের দিকে দেহটি ভাগাড়ে ফেলে দেন।
৩১ বছরের জন্টি কেএমডিএ’র লাইব্রেরি বিভাগের কর্মী। এলাকায় পশুপ্রেমী বলে পরিচিত। প্রাণী অধিকার নিয়ে সচেতনতা প্রচার চালান। জন্টির মা বাসবী বন্দ্যোপাধ্যায়ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। জন্টি বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় ৫-৬টি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিড়ালকেও একইভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।’’