আর পাঁচটা ইন্ডাস্টির মতোই চলে অ্যাডাল্ট ফিল্মের দুনিয়া। নীলছবি নিয়ে যত গোপনীয়তা আর যত যৌনতৃপ্তির রসদই থাক না কেন, এখানে যারা কাজ করেন তাদেরকে রীতমতো ঘাম ঝরাতে হয়। কেননা অন্যান্য শুটিংয়ের মতো পর্ন ছবির শুটিংও কষ্টকর। উপরন্তু এই কাজে শারীরিক ঝক্কিও অনেক বেশি। এমন কিছু কাজ করতে হয় অভিনেত্রীদের যা সহজ নয়। আর তাই বিভিন্ন রকম কাজের জন্য আলাদা আলাদা পারিশ্রমিকই নেন তারা।
সাধারণ সঙ্গম দৃশ্য : একজন নারী ও পুরুষের সাধারণ সঙ্গম দৃশ্যে অভিনয় করার ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক কমই। এক্ষেত্রে তাদের পারিশ্রমিক ৩০০ ডলার থেকে ১৫০০ ডলার। তবে এরও রকমফের আছে। অভিনেত্রী কী রকম দেখতে, কতটা অভিজ্ঞতা এবং এই দুনিয়ায় তিনি কতটা নামী তার উপরও পারিশ্রমিক নির্ভর করে।
দুই নারীর সঙ্গম : এক্ষেত্রে অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক বেশি। এই ধরনের ভিডিওর চাহিদাও বেশি থাকে বলে, বাড়ে পারিশ্রমিকের অঙ্কও। ৭০০ থেকে ১২০০ ডলার পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাদের।
অ্যানাল সেক্স : অ্যানাল সেক্সের দৃশ্যে অভিনয় করা যে কোনো অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই খানিকটা যন্ত্রণাদায়ক। তবে এর জন্য পারিশ্রমিকও বেশি। ১২০০ ডলার দেওয়া হয় এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য।
ওরাল সেক্স : এক্ষেত্রে পারিশ্রমিক সবচেয়ে কম। ব্লোজব করার জন্য দেওয়া হয় মাত্র ১০০ ডলার। তবে মুখমেহনের পাশাপাশি অন্যান্য কাজ যা দেখানো হয় ছবিতে, তার জন্য বাড়তি চার্জ করেন অভিনেত্রীরা।
ডাবল পেনিট্রেশন : এই ধরনের দৃশ্যে একজন নারী দুই পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে সঙ্গমের দৃশ্যে অভিনয় করেন। একই সঙ্গে এই সঙ্গম চলে। তাও শুটিং, অর্থাৎ একটানা নয়। প্রয়োজনমতো বিভিন্নভাবে তা শুট করা হয়। ফলে রীতিমতো কষ্টকর ও শারীরিক ধকলের এই কাজ। আর তাই এই কাজে বেশ ভাল পারিশ্রমিক পান অভিনেত্রীরা। ১৮০০ ডলার বা লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয় এই কাজের জন্য।
গ্যাং ব্যাং : এক্ষেত্রে তিন থেকে চারজনের সঙ্গে কোনো একজন অভিনেত্রীকে পারফর্ম করতে হয়। ফলে এই কাজের পারিশ্রমিক স্বভাবতই বেশি। প্রায় ৩০০০ ডলার এই কাজের জন্য দেওয়া হয় তাদের।
তবে এছাড়াও অনেক কাজ করতে হয় পর্ন অভিনেত্রীদের। তবে তার জন্য আলাদা কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না তাদের। এছাড়াও পারিশ্রমিকের উপর কর তো দিতেই হয়। সেইসঙ্গে প্রতি পনোরো দিনে সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজের পরীক্ষা করাতে হয় অভিনেত্রীদেরও। প্রতি পরীক্ষায় প্রায় ১৫০ ডলার খরচ হয় এক্ষেত্রে।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি ২০১৭