ঠিক মতো লেখা পড়া না করায় দশ বছর বয়সী ছেলেকে মেরেছিলেন মা। সেই রাগে ছেলে ভারতের মালদহ থেকে পালিয়ে চলে যায় গঙ্গাসাগর মেলায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় টাকা নিলেও গরম জামাকাপড় নিতে পারেনি মালদহ পাশকুড়ার শিবা কুমার। বলতে গেলে, সেই গরম জামাগুলোই আবার মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে চলেছে তাকে।
গঙ্গাসাগর মেলার ২ নম্বর রাস্তার পাশেই বজরঙ্গ পরিষদের প্রধান ক্যাম্প অফিস। শুক্রবার রাত ১০টা দিকে ওই অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ঠান্ডায় কাঁপছিল শিবা। তাকে লক্ষ্য করেন পরিষদের সম্পাদক সবরমল গয়াল। ছেলেটির গায়ে শীতের কোন পোশাক না দেখে সন্দেহ হয় তার। হারিয়ে গেছে মনে করে তার নাম-ধাম জিজ্ঞাসা করেন সবরমলবাবু। প্রথমে মুখ না খুললেও পরে শিবা তাকে জানায়, পড়াশোনা না করায় মা তাকে মেরেছেন। তাই গত মঙ্গলবার বেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেন ধরেছিল সে। পৌঁছায় হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে বাবুঘাট। তার পর লোককে জিজ্ঞাসা করে করে গঙ্গাসাগর।
কিন্ত গঙ্গাসাগর কেন? সবরমলের প্রশ্নের জবাবে শিবা জানায়, অনেকের মুখে সে এই জায়গার নাম শুনেছে। তবে প্রথমে এত না ভেবেই হাওড়ার ট্রেনে উঠেছিল সে। ভেবেছিল, যেখানে ট্রেন থামবে সেখানেই নেমে পড়বে। কিন্তু ট্রেনেই অনেকের মুখে গঙ্গাসাগরের নাম শোনে। তখন ঠিক করে, সেখানেই যাবে। তবে তাড়াহুড়োয় গরম জামা নিতে ভুলে গিয়েছিল। বজরঙ্গ পরিষদের পরে পুলিশকে সব জানায়।
শিবা জানায় সে স্কুলে পড়ে না। বাড়িতেই পড়াশোনা করে। কিন্তু একটু ভুল হলেই মা তাকে মারধর করেন। তাই বাবা, দাদা আর মাকে ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল সে।
জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি বাবুঘাটে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে শিবাকে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন