নতুনভাবে বাঁচার আশা নিয়ে ভোর হয় সেখানে৷ প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর হাতছানি কাটিয়ে বাঁচার তাগিদ জীবনকে দেয় নতুন গতি৷ তালেবান আর আইএসের সৌজন্যে জীবনের মানেটাই বদলে গেছে আফগানদের৷ সেখানে পড়াশুনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া লড়াইয়ের সামিল৷ আর সেই লড়াই চলে বাচ্চা কোলে নিয়ে, লড়াই চলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে৷
সম্প্রতি এক আফগান মায়ের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়৷ ছবিতে দেখা গেছে এক মা তার সন্তান কোলে পরীক্ষায় বসেছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তাকে দেখা যাচ্ছে মাটিতে বসে সন্তানকে খাওয়াতে খাওয়াতেই লিখে চলেছেন তিনি৷ আহমাদি নামের সেই নারীরর ছবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক৷
মধ্য আফগানিস্তানের নাসির খুসরু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ঘটনা৷ যে আফগানিস্তানে অধিকাংশ নারীরই পড়াশোনার অধিকার নেই, তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সময় সন্তান কোলে মায়ের এই ছবি ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের৷
সন্তানদের পাশে থেকেই চিকিৎসক হতে চান বলে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে্ন আহমাদি৷ সেই ইচ্ছাপূরণ করতে সন্তানকে নিয়ে দু ঘন্টা পায়ে হেঁটে, আরও ন ঘন্টা পথ পেরিয়ে নিলি প্রদেশে এসে পৌঁছেছেন শুধু পরীক্ষা দেবেন বলে৷
পরীক্ষাকেন্দ্রে বাচ্চাকে পাশে রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন তিনি৷ কিন্তু শিশুটি কাঁদতে থাকায় তাকে কোলে নিয়ে মাটিতেই বসে পড়েন আহমাদি, যাতে অন্যদের কোনওভাবেই সমস্যা না হয়৷ সেই সময়ই ছবিটি তোলেন সেই অধ্যাপক৷
এই ঘটনার পর প্রশাসন এগিয়ে এসেছে৷ তিন সন্তানের এই মাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে তারা৷ তিনি যাতে আরও এগোতে পারেন, তার আশ্বাস দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে৷
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর