ভারতের মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার সোনুরলি গ্রামে একটি জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক রাখাল। তিনি জঙ্গলের ভিতর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বছর পঞ্চাশের এক নারীকে বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেন ওই রাখাল। উদ্ধারের পর তাকে গোয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ দিন ধরে না খেয়ে রয়েছেন ওই মার্কিন নারী! তার নাম ললিতা কাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, তার প্রাক্তন স্বামীই লোহার শিকল দিয়ে তাকে জঙ্গলের মধ্যে বেঁধে রেখে দিয়েছিলেন।উল্লেখ্য, যে জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি সিন্ধুদুর্গ জেলা সোনুরলি গ্রামের কাছেই। এই এলাকা থেকে গোয়ার সীমানা কাছেই। উদ্ধারের সময় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন ললিতা কাই নামে ওই নারী। উদ্ধারের সময় তার একটি আধার কার্ডও পেয়েছে পুলিশ। সেটিতে তামিলনাড়ুর ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে আমেরিকান পাসপোর্টের একটি প্রতিলিপিও ছিল তার সঙ্গে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি গত ১০ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন। ললিতা কোন দেশের নাগরিক, তা জানতে সব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ। ওই নারীর বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি । খুবই দুর্বল। দেখে মনে হচ্ছে, কয়েকদিন কিছু খাননি। এই এলাকায় ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। আমরা জানি না, গাছে বাঁধা অবস্থায় তিনি কতদিন রয়েছেন। আমাদের ধারণা, ওই নারীর স্বামী তাকে গাছে বেঁধে রেখে পালিয়েছেন। তার স্বামীর বাড়ি তামিলনাড়ুতে।”
তদন্তকারী টিম ওই নারীর স্বজনদের সন্ধানে তামিলনাড়ু, গোয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বিডি প্রতিদিন/একেএ