চট্টগ্রামের পটিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দু’টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ( সকাল সোয়া ৯টা) উপজেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত পাওয়া লোহাগাড়া উপজেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নাজমুল হাসান বলেন, ভোটগ্রহণের জন্য লোহাগাড়া ও পটিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে লোহাগাড়াকে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে পটিয়াকেও কম গুরুত্ব দিচ্ছি না। অনেক সময় দেখা যায়, কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়ও বড় ঘটনা ঘটে গেছে।
পটিয়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ, ১০ জন আনসার, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার ও দফাদার মিলিয়ে ১৮ জন করে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। লোহাগাড়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে আছে ২০ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এছাড়া সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মূল সড়কে টহল দিচ্ছে। জেলা পুলিশ ও এপিবিএন মিলিয়ে দুই প্লাটুন করে রিজার্ভ পুলিশ পটিয়া ও লোহাগাড়া থানায় রাখা হয়েছে।
পটিয়া ও লোহাগাড়ায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের প্রার্থীও আছেন এ নির্বাচনে।