তেল আবিবের কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। শনিবারের (২ আগস্ট) এ বিক্ষোভে গাজা উপত্যকায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির লক্ষ্যে ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ জড়ো হওয়া এসব বিক্ষোভকারী দ্রুত একটি চুক্তির মাধ্যমে গাজায় আটক সব বন্দির মুক্তির আহ্বান জানান। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানায়, বিক্ষোভে অংশ নেন বন্দিদের পরিবারের সদস্যরাও। এদের মধ্যে ছিলেন বন্দি এভিয়াতার ডেভিডের স্বজনরাও। তার বোন এক আবেগঘন বক্তৃতায় বলেন, “আমার ভাইয়ের এখনই চিকিৎসার প্রয়োজন, তার আর সময় নেই।”
শনিবার এটি ছিল দ্বিতীয় বিক্ষোভ। সকালে একই শহরে কয়েকশো ইসরায়েলি প্রথম দফায় বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যার বিক্ষোভ ছিল তার চেয়েও বড়, যা আয়োজন করে ‘হোস্টেজ ফ্যামিলিজ ফোরাম’। এই মঞ্চটি গাজায় আটক বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’ জানায়, সম্প্রতি হামাস ও ইসলামিক জিহাদ দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বন্দি এভিয়াতার ডেভিড এবং রোম ব্রাসলাভস্কিকে চরম দুরবস্থায় দেখা গেছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল এই বন্দিদের ভিডিও দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে, যার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।
সন্ধ্যার বিক্ষোভে এভিয়াতারের বোন বলেন, “আমরা ইসরায়েল সরকার, ইসরায়েলি জনগণ, বিশ্বের দেশগুলো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন এভিয়াতার, গাই গিলবোয়া-দালালসহ অন্যান্য বন্দিদের প্রাণ বাঁচাতে যা যা সম্ভব সবকিছু করেন। তারা যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা পান।”
গাজায় আটক আরেক বন্দির আত্মীয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেন, “আপনিই তাদের অবহেলা করেছেন, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, মিথ্যা কৌশলের গল্প বানিয়েছেন। প্রতিটি সুযোগ আপনি নষ্ট করেছেন।” তিনি আরো বলেন, “এখন আমাদের সন্তান এবং অন্য বন্দিরা এর চরম মূল্য দিচ্ছে। আর নয়।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম