পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জয়ের পর পুরোপুরি বিশ্রামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লিটন বাহিনীর হাতে এখন অফুরন্ত সময়। চলতি মাসে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিরিজটি স্থাগিত করেছে। অবশ্য একবারে বাতিল করেনি। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে একটা স্ক্যাজুয়াল রয়েছে সফরের। ভারতের বিপক্ষে খেলা না থাকায় কোনো রকমের ম্যাচ খেলার প্র¯‘তি ছাড়াই এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল লিটন বাহিনীর। অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক লিটন বিসিবির কাছে অনুরোধ করেছিলেন একটি টি-২০ সিরিজ আয়োজনের। টাইগার অধিনায়কের অনুরোধে বিসিবি যোগাযোগ করেছে আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস ও নেপালের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক স্ক্যাজুয়াল না থাকায় দুটি দেশই টি-২০ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডও চেয়েছে তিন জাতির একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, তিন জাতির টুর্নামেন্ট খেলতে সময় বেশি লাগবে বলে শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে ইউরোপীয় দেশটি সম্ভবত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসবে। ১৯-২৫ আগস্ট সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলবে। সিরিজ এবং এশিয়া কাপের জন্য লিটন বাহিনীর ক্যাম্প শুরু হতে পারে ১৫ আগস্ট। ক্যাম্প হবে সিলেটে। ক্যাম্পে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে যোগ দেবেন জুলিয়ান উড। ক্যাম্প হবে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ক্রিকেটার নিয়ে।
এশিয়া কাপের ১৭তম আসরে অংশ নেবে আট দল। পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ছাড়াও আইসিসির তিন সহযোগী দেশ হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান অংশ নেবে। দলগুলো দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। লিটনদের গ্রুপে খেলবে হংকং, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। অন্য গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান, আমিরাত ও ওমান। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে। ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ হংকং। ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর। এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। আমিরাতে সাধারণত খেলা হয় দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতে। গত আসরের যৌথ আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। আগের দুই আসরের আয়োজক ছিল মরুরাজ্য আমিরাত।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ১৯৮৬ সাল থেকে। এবার নিয়ে তৃতীয়বার টি-২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া কাপ। এর আগে ২০১৬ ও ২০২২ সালে ২০ ওভারের ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট হয়েছিল। ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে রানার্সআপ হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১২ ও ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটের ১৩ আসরে বাংলাদেশ ৪৮ ম্যাচে অংশ নিয়ে জিতেছে ৯টি এবং হেরেছে ৩৯টি। টি-২০ ফরম্যাটে ১০ ম্যাচ খেলে জয় ৩টি, হার ৭টি। এবারের এশিয়া কাপ টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজনের কারণ, আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ।