হংকং চায়নার বিপক্ষে কী করবে বাংলাদেশ? জিতবে না হারবে, নাকি পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে? ৯ অক্টোবর ঢাকা স্টেডিয়ামে দুই দেশ মুখোমুখি হবে। ১৪ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচে ফিরতি দেখা। এশিয়ান কাপ চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে কি না তা অনেকটা নির্ভর করছে দুই ম্যাচের ওপর। হংকং যদি এক ম্যাচও জিতে যায় তাহলে বাংলাদেশের আশা শেষ হয়ে যাবে। ৪৫ বছরের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাবে। এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে ‘সি’ গ্রুপে চার দেশই দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। সিঙ্গাপুর ও হংকং দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তবে গোল ব্যবধানে হংকং রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট এক।
হংকংয়ের বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়াদের দুটি ম্যাচকেই বাঁচা-মরার লড়াই বলা যায়। তবে অধিনায়ক হিসেবে জামাল সেরা একাদশে থাকবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। জামালই জাতীয় দলে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই আবার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর সর্বোচ্চ ম্যাচে রিজার্ভ বা সাইড বেঞ্চে বসে থাকছেন। বছরের পর বছর এভাবে বসে থাকার নজির নেই। প্রশ্ন হচ্ছে জামালকে যদি মাঠে নামানো না হয় তাহলে কোন যুক্তিতে অধিনায়ক করা হচ্ছে? দলেও বা ডাক পাচ্ছেন কীভাবে? হংকংয়ের বিপক্ষে তিনি কি শুরু থেকেই খেলবেন নাকি বদলি হিসেবে নামবেন? এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও অধিনায়কের নাম ছিল অতিরিক্ত তালিকায়। মাঠে না নামানোর পেছনে বড় কারণ কোচ তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন। তাহলে জামালকে বার বার স্কোয়াডে রাখা হচ্ছে কেন? সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ঢাকায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভুটানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে জামাল শুধু শুরু থেকেই খেলেননি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। তার কর্নারে হেডে হামজা দেওয়ান চৌধুরী গোল করেছিলেন। হামজা তার অধিনায়কের
পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন। তিনি নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে অনুরোধ রেখেছিলেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দলের স্বার্থে জামালকে শুরু থেকে খেলানো হোক। কই তা তো আর হয়নি জামাল বসে ছিলেন সাইড বেঞ্চে। খেলছেন না অথচ তাকে বারবার কেন অধিনায়ক করা হচ্ছে এটা সত্যিই রহস্যময়। হংকংয়ের বিপক্ষে এখনো চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়নি। তবে নেতৃত্বে জামালই থাকছেন তা নিশ্চিত। আসলে এ ব্যাপারে বাফুফে থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসা উচিত। তা না হলে বিষয়টি হাস্যকরে পরিণত হচ্ছে। এ যেন জাতীয় দল নিয়ে ছেলে খেলা।