হামজা দেওয়ান চৌধুরীর পর আরও দুই প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। তাঁরা খেলার পরও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের অবস্থাান মজবুত বলা যাবে না। ভারতের বিপক্ষে ড্র ও ঢাকায় হোম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে যায়। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও এখনো চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। ১৯৮০ সালেই বাংলাদেশ একবার এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল। নারী জাতীয় দল মিয়ানমার জয় করে প্রথমবার এশিয়ান ফুটবলে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় চূড়ান্ত পর্বে খেলবেন আফঈদারা। ফিকশ্চারও চূড়ান্ত হয়েছে।
মেয়েরা চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ায় পুরুষ জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জটা বেড়ে গেছে। হামজাদের নিয়েও যদি ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকে তা হবে লজ্জার। যাক, হামজারা কত দূর যাবেন তা নিশ্চিত না হলেও জাতীয় দলে খেলায় ফুটবলে প্রাণ সঞ্চায় হয়েছে। জাতীয় দল ঘিরে আগ্রহও বেড়েছে। এবার বয়সভিত্তিক দলেও প্রবাসীর দেখা মিলবে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলবে ভিয়েতনামে। অন্য দুই প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর ও ইয়েমেন। বাছাইয়ে ১১ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্সআপ আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে সুযোগ পাবে। প্রতিপক্ষ খুব শক্তিশালী নয় বলে বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভালো দল গড়ার দিকে মনোযোগী হয়েছে বাফুফে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে আংশিক দল গড়া হয়েছে সেখানে সুযোগ পেয়েছেন আমেরিকানপ্রবাসী ডিফেন্ডার জায়ান আহমেদ। গত জুনে ৪৫ জন প্রবাসী নিয়ে যে ট্রায়াল হয়েছিল, সেখানে কাউকে জাতীয় দলের জন্য উপযুক্ত মনে না হলেও বলা হয়েছিল, বাছাইকৃত অন্তত ছয়জনকে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে ডাকা হবে।
ডাক পেয়েছেন শুধু জায়ান। হয়তো আর চার-পাঁচ জন ক্যাম্পে ডাক পাবেন। এমনকি বসুন্ধরা কিংসে যোগ দেওয়া কিউবা মিচেলকেও দেখা যেতে পারে। এএফসি বাছাই পর্বে বাংলাদেশ কী করবে বলা মুশকিল। তবে জায়ান যদি চূড়ান্ত দলে ডাক পান তাহলে তাঁর কপাল খুলে যেতে পারে। পারফরম্যান্সে সবার মন জয় করলে এ ডিফেন্ডার পরবর্তীতে জাতীয় দলে ডাক পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এমনিতেই রক্ষণভাগে জাতীয় দলের দুর্বলতা রয়েছে। অযথা গোল হজম করছে। সে ক্ষেত্রে ভিয়েতনামে জায়ান তাঁর সেরাটা দিতে পারলে হামজাদের সতীর্থ হয়ে যেতে পারেন। কতটুকু পারবেন সেটাই এখন দেখার।