সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা সাতক্ষীরার চারজনসহ সাত বাংলাদেশি নাবিককে মুক্তি দিয়েছে দস্যুরা। আজ রবিবার তারা ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশি সাত নাবিক কেনিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে নাবিকরা তাদের স্বজনদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ খবরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের কাছে পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা সকলে।
সূত্র জানায়, জলদস্যুদের দাবি করা ছয় লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রের তিনটি তহবিল থেকে যোগান দেয়া হয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অনুমোদন দেন। তবে মুক্তিপণের টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়াটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হওয়ায় ভিন্নভাবে ব্যবস্থা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা করে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক অফিস ইউএনওডিসি এবং লন্ডনভিত্তিক মেরিটাইম পাইরেসি অ্যান্ড হিউমেনিটারিয়ান রেসপন্স প্রোগ্রাম (এমপিএইচআরপি)। মালয়েশিয়ার ব্যক্তি মালিকানাধীন এমভি আলভাঁদো নামের জাহাজের সঙ্গে অপহৃত হওয়া এই সাত হতভাগা নাবিক আজ দেশে ফিরছেন।
২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর বন্দী হওয়া মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আলভাঁদোয় থাকা অন্য দেশের নাগরিকসহ সাত বাংলাদেশি নাবিককে অপহরণ করা হয়। জাহাজে বাংলাদেশি বন্দী আছেন সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত মৌ হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, ধুলিহর ইউনিয়নের ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান ও নুরুল হক এবং আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মো. আবুল কাশেম। এছাড়া চাঁদপুর জেলার লিমন সরকার এবং চট্টগ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসাইন।