চট্টগ্রামে জাকির হোসেন (৩০) নামের এক কয়েদিকে হত্যার অভিযোগে কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া ও কারাধ্যক্ষ (জেলার) নেছার আলমসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরীর আদালতে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই ইয়াকুব কায়সার মামলাটি করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন কারাগারের সুবেদার আঞ্জু মিয়া ও হুমায়ুন কবীর, প্রধান কারারক্ষী মো. হাসান ও আবদুর রশীদ, কারারক্ষী আলমগীর ও জিয়াবুল ইসলাম এবং হাসপাতালের চিকিত্সক মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া মামলায় ঘটনার দিন (৩ জুন) দায়িত্বরত উপকারাধ্যক্ষসহ অজ্ঞাত তার সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
নিহত জাকির হোসেন নগরের কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা এলাকার জেবল হোসেনের ছেলে। কর্ণফুলী থানার একটি অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জাকির ২০০৭ সালের ২৪ মে কারাগারে আসেন। তিনি কারাগারের বন্দিদের আনা-নেওয়ার রেজিস্ট্রি দেখাশোনা করতেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কারাগারে তার ভাইকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে কারা হাসপাতালের রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তার ভাইকে হত্যা করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মহা কারাপরিদর্শক সুবেদার আঞ্জু মিয়া ও হুমায়ুন কবীরকে তাত্ক্ষণিক বদলির আদেশ দেন। ঘটনার পরদিন কারারক্ষী আলমগীর ও জিয়াবুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রধান কারারক্ষী মো. হাসান ও আবদুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেন কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া।