‘ভাই, দুইটা জাহাজ দেখতে পাচ্ছি। জাহাজ দুটি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। কাদের জানি না। আমরা আতঙ্কে আছি। ওরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। ২০ জন লোক গুলি খেয়ে পড়ে আছে। পাঁচজন মরে গেছে। আমাদের বাঁচান।’
দুপুর দেড়টায় ঘটনাস্থল থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোবাইল ফোনে কথাগুলো বলছিলেন আক্রান্ত ট্রলারের যাত্রী মিঠুন। মিঠুনের গলা কাঁপছিল। তিনি বলেন, ৩১১ জন যাত্রী নিয়ে বড় আকারের ট্রলারটি গত রাতে কক্সবাজার থেকে রওনা হয়। যাত্রীরা সবাই অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়িয়ে আরো ১০/১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি জলসীমা দিয়ে যাওয়ার সময় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ ২০ জনের অবস্থাও বেশি ভালো না বলে মিঠুন ওই ট্রলার থেকে ফোনে জানান।
তিনি আরো বলেন, যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কারো গুলি লেগেছে পেটে, কারো হাতে, কারো বুকে কিংবা পায়ে। আর যাদের মাথায় গুলি লেগেছে তারা ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় ও বিস্তারিত জানতে পারলেও আতঙ্কের কারণে কথা বলতে পারছিলেন না মিঠুন।
শেষ খবরে নরসিংদীর ছেলে মিঠুন আরো জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং বিকল হয়ে পড়া ট্রলারটি বেঁধে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসছে।