সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের সেই সাত নাবিক দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র সীমা) খুরশিদ আলম বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের গ্রহণ করেন। এ সময় সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ফেরা সাত বাংলাদেশি নাবিক হলেন- সাতক্ষীরার গোলাম মোস্তফা, হাবিবুর রহমান, আবুল কাশেম সরকার ও নুরুল হক, চাঁদপুরের লিমন সরকার এবং চট্টগ্রামের আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসাইন। তাদের সঙ্গে একই দলে একজন ভারতীয়, দু’জন শ্রীলংকান এবং একজন ইরানি নাবিকও ছিলেন। জলদস্যুদের কাছ থেকে তারাও মুক্তি পেয়েছেন।
জাতিসংঘের ‘পলিটিক্যাল অফিস ফর সোমালিয়া’র সহায়তা গত শুক্রবার মুক্তি পান তারা। এরপর শনিবার তাদের বিমানযোগে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও দেখাশোনার জন্য বেশ ক’দিন রেখে দেন নাইরোবির আগা খান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আলবেদো থেকে সাত বাংলাদেশি নাবিককে অপহরণ করা হয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (ইউএনওডিসি) সহায়তায় সাড়ে তিন বছর পর মুক্তি মেলে এই নাবিকদের।
মুক্তির পর জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (ইউএনওডিসি) একটি উড়োজাহাজযোগে এই সাত নাবিককে নাইরোবিতে নেওয়া হয়। সেখানে ইউএনওডিসি কর্তৃপক্ষ ও নাইরোবিতে বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মকর্তারা তাদের গ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত, পাকিস্তান ও ইরানের নাবিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সাত নাবিক অপহরণের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের উদ্ধারে কাজ করে আসছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে মেরিটাইম পাইরেসি ও মানবিক রেসপন্স কর্মসূচি (এমপিএইপআরপি) মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাত বাংলাদেশি ক্রু জীবিত ছিল বলে নিশ্চিত করে।