বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চারজনের লাশ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরা হলেন যশোরের সেলিম ও রুবেল, সিরাজগঞ্জের মনির ও বগুড়ার শাহীন।
টেকনাফ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরজনের নাম-পরিচয় জানতে না পারায় লাশ হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহত পাঁচজনের লাশ সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
এদিকে, মালয়েশিয়াগামী ট্রলারে সন্ত্রাসীদের গুলির ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সকালে দালালদের বিরুদ্ধে হত্যা, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে টেকনাফ থানায় মামলাগুলো করা হয়।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার নূরন্নবী মামলা দায়েরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে সাগর পাড়ি দিচ্ছিলো ৩১২ জন বাংলাদেশি যাত্রীবাহী একটি থ্যাইল্যান্ডের ট্রলার। খাবার নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে ট্রলারের ক্রুদের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় ক্রুদের সংকেতে কাছাকাছি থাকার ট্রলার থেকে যাত্রীদের ওপর গুলি চালানো হলে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়। তারমধ্যে একজনের মৃতদেহ সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। এর আগে আরো দুইজনকে গলায় ছুরি চালিয়ে সাগরে ফেলে দেয় ক্রুরা। এ সময় বেশ কয়েকজন জীবন বাঁচাতে সাগরের পানিতে লাফিয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। আর বাকি তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। পরে ট্রলারে থাকা এক যাত্রীর ফোনকলের মাধ্যমে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ৩১২ জনকে উদ্ধার করে।