অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দূর্নীতিতে আমরা এতো বেশী লিপ্ত যে দূর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আইনের দুর্বলতা, তথ্য ও সাক্ষীর অভাবে দূর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যায়। দূর্নীতির পরিধি ব্যাপক। আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে দূর্নীতির পক্ষে পদক্ষপ নিয়েছি। এই সংসদের কোন সদস্য এর সাথে দ্বিমত করতে পারবেন না।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আইনের দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা পেয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা যারা আইন করি নিজেদের জন্য আইনে ফাঁক ফোকর রেখেই তা করি। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারি দূর্নীতি করেন। কিন্তু তাদের কোন শাস্তি হয়না। শাস্তি হয় কেরানীর।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দূর্নীতির দায়ে '৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুইজন সরকারি কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। এরমধ্যে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যাদের শাস্তি হয়েছে তা হয়েছে সামরিক আদালতে। তবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, দূর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও অর্থ ব্যবস্থাপনার সফলতার কারণে আন্তজাতিক রেটিংয়ে ভারত কালো তালিকাভুক্ত হলেও বাংলাদেশ সাদা তালিকায় রয়েছে। অর্থ পাচার রোধে সরকার কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন সবচে’ বেশী কালো টাকা সৃষ্টি হয় জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে। দশ কোটি টাকায় জমি বিক্রি করা দেখানো হয় ২৫ লাখ টাকা। এতে সরকার একদিকে ট্যাক্স বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে পুরো টাকাটা কালো টাকা হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমি জমি হস্তান্তরের টাক্স ১ শতাংশ করার জন্য কাজ করছি। দিদারুল আলমের ( চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরমধ্যে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর হতে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরৎ আনা হয়েছে।’