ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হুমকি ও বাধা পেয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির শতাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই শুরু হয়েছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্বাচন বিনাশী চরিত্রের বীভৎস আত্মপ্রকাশ। বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয় এবং মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, “এই পর্যন্ত শতাধিক ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের জমা না দেওয়ার ঘটনার কথা আমরা জানতে পেরেছি। এখনো পুরো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।”
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সব ইউনিয়ন, সদর উপজেলার বারুইপাড়া, ডেমা, বেমরতা, খানপুর, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাট, রানা পাশা, কুলকাঠি, খুলনার তেরখেদা উপজেলার ছাগলাদহ, আজগড়া, বারাসাত, মধুপুর, তেরখেদা ইউনিয়ন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদি খান উপজেলার জইনশা এবং সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রিজভী।
এসব ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগীখালীতে রবিউল ইসলাম, সোনাবাড়ীয়ায় শহীদুল ইসলাম, দেয়াড়ায় ইব্রাহিম হোসেন, কয়লায় আবদুর রকীব ও কেরালকাতায় জহুরুল ইসলাম এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খান উপজেলার জইনশায় দলের প্রার্থী নাজিমুদ্দিনের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সরকার ও নির্বাচন কমিশন ‘যমজ ভাইয়ের’ মতো আচরণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফায় ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেওয়া শুরু হয়। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ দিন।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব