বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের (ফার্নেস ওয়েল) দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতের দাম কমছে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা ফার্নেস ওয়েলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দামটা কত নামবে সেটা এখনও ঠিক করিনি। পরিপত্র জারি হওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। হিসাব হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি আমরা চূড়ান্ত করতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফার্নেস ওয়েল ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানায় ও আমাদের জাহাজেও। আমরা নিশ্চিত যে এটার দাম কমছে।'
বাকি জ্বালানি তেলের (ডিজেল, পেট্রল) দাম কমানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি জানিয়ে জ্বালানি তিনি বলেন, ‘তবে সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের যাচাই-বাছাই চলছে। সেগুলোর মূল্য কাঠামো ও বিপিসির (বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন) অবস্থান দেখছি আমরা। বিপিসির এখনও বেশকিছু দেনা রয়ে গেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম কমালে ফার্নেস ওয়েলে যে কয়টি সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে সেখানে সরকারের ভর্তুকি কিছুটা কমে আসবে। সেই টাকাটা আমরা বিনিয়োগের দিতে পারব।'
ফার্নেস ওয়েলে বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে, তাই এর দাম কমলে বিদ্যুতের দাম কমবে কিনা-জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের টার্গেট সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া। যেখানে সরকারে ফার্নেস ওয়েল নেয় সেখানে হয়তো সরকার কমফোর্ট ফিল করবে। এক্ষেত্রে সরকার বড় অংকের ভর্তুকি দিত। এজন্য হয়তো আমাদের কিছু টাকা কম লাগবে। কিন্তু যেভাবে আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন হচ্ছে, সরবরাহ হচ্ছে, সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে। অর্থাৎ লোনের পরিমাণও বাড়ছে।’
‘সেই দিকে যদি হিসাব করি আমার মনে হয় না স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুতের দামের উপর কোনো প্রভাব পড়বে এ মুহুর্তে,’ বলেন নসরুল হামিদ।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব