ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে অর্থনৈতিক সহায়তা গড়ে তুলতে পরিবহন ব্যবস্থা (ট্রান্সপোর্ট করিডর) উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার এবং ইন্ডিয়া-আমরা সকলেই প্রতিবেশি রাষ্ট্র এবং ভবিষ্যতেও আমরা প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসাবেই থাকতে চাই। একজন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটাতে পারে কিন্তু কোন একটি দেশের ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে না।
ইউনাইডেট নেশন ইকনমিক এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক (ইউএনইএসসিএপি) এর উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় মেঘালয়ের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইকোনমিক কো-অপারেশন ডায়লগ ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম আলি বলেন ‘কিছু সংযোগ বিরোধী শক্তি আছে যারা নিয়মিত নিরাপত্তাহীনতার স্লোগান তুলছে, তাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর লক্ষ্যে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা আরও শক্তিশালী ও মানসিক পরিবর্তন খুব জরুরি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলে এই বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর কথা বলেছেন। বাংলাদেশ সবসময়ই উত্তরপূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য সবসময় সচেষ্ট। পরিবেশ বান্ধব ও অর্থনৈতিক ভাবে টেকসই ও অপেক্ষাকৃত কম খরচের কারণে রেল ও জলপথে পরিবহনের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে আমাদের সরকার। ইতিমধ্যেই বাস চলাচল শুরু করা হয়েছে। যদিও এই যাত্রাপথ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করতে আরও অতিরিক্ত বাস চলাচলের ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ভারত ও প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে পরিকাঠামো ও কানেকটিভিটি বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব