চলমান নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য নিয়ে বসে আছে ৫২টি জাহাজ। পাশাপাশি সাগরে মাছ ধরা জাহাজগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন জাহাজ মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। আর পণ্যের আমদানি-রফতারিকারকদের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা করে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ খান।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ৫২টি পণ্যবাহী জাহাজে খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে বন্দর ত্যাগ করতে না পারায় অতিরিক্ত মাসুল গুনতে হচ্ছে জাহাজ মালিকদের। অন্যদিকে পরবর্তী বন্দরে সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এসব জাহাজে গম, চিনি, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিংকার, কয়লা ও ইউরিয়া সার রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে বিভিন্ন শিল্প কারখানায়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে এমনতেই শিপিং ব্যবসার অবস্থা খারাপ। এরমধ্যে পণ্য নিয়ে বসে থাকার কারণে অতিরিক্ত ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো.শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ৭দিনে অনেকবার নৌমন্ত্রীর সাথে আমাদের দাবি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সুফল আসেনি। এখনও আলাপ চলছে।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কর্ণফুলী নদীর ১৬ ঘাট। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশের মতো কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটেও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ