প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক অব পাবলিক অর্গানাইজেশন’ গড়ে তোলার বিষয়ে দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সমঝোতা এবং গণউদ্ভাবনী খাতের বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি চিন্তা-ভাবনার সম্প্রসারণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরের থেকে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করবে।’
মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে ‘সাউথ সাউথ এন্ড ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশন ইন স্কেলিং আপ ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কোঅপারেশন অফিস এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণের বন্ধু দেশগুলোকে প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য এবং উত্তরের দেশগুলোকে এজেন্ডা ২০৩০ ফ্রেমওয়ার্কে বিষয়টি অর্ন্তভূক্তির জন্য সমর্থনের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে ব্যর্থ হলে সকলের জন্য সমতাসূচক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সুদূর পরাহতই থেকে যাবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণসেবা উদ্ভাবন খাতকে সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যেই মালদ্বীপ এবং ভূটানের সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে তার সরকার সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। জনগণের বাড়তে থাকা আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পরিবর্তন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জনবান্ধব এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রবর্তণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
এজন্য তার সরকার ত্রিমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি সরকার ও জনগণের মধ্যে পারস্পারিক আস্থা ও বিশ্বাস জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে, সকালে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. জং ইয়ং কিম প্রধানমন্ত্রীর হোটেল সুইটে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সূত্র: বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব