সুন্দরবনে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কাঁকড়া আহরণকালে আরও দুই জেলেকে অপহরণ করেছে সদ্য আবির্ভূত বনদস্যু শামছু বাহিনী। সোমবার ভোরে পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের মধ্যবর্তী শ্যালা নদী সংলগ্ন কাঁকড়ার খালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ৩ নভেম্বর সকালে তাম্বলবুনিয়া এলাকা থেকে শরণখোলার দুই জনসহ সাত জেলেকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে দু’দফায় ৯ জেলেকে অপহরণ করলো শামছু বাহিনী।
অপহৃত জেলেরা হলেন মো. জিয়ারুল তালুকদার (৩৮) ও আ. রহিম খান (২৮)। এদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে। দুই জেলের মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। কোস্টগার্ড, বনবিভাগ ও মহাজনরা অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, গত চার দিনেও অপহৃত সাত জেলে উদ্ধার না হওয়ায় মহাজন ও অপহৃতদের পরিবারে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। মহাজনদের কাছে একেক জেলের মুক্তিপণ বাবদ এক লাখ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে মহাজন ও দস্যুদের মধ্যে দেনদরবার চলছে। মহাজনরা জানান, চাহিদামতো মুক্তিপণ পেলেই অপহৃতদের ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে দস্যুরা। অপহরণের চার দিন পার হলেও অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলে ও মহাজনরা।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কামান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী বলেন, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বনদস্যুদের অবস্থান শনাক্ত করতে আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ তৎপরতা চালাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ