মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রিয়ট জায়েমের নেতৃত্বে নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া নির্ধারণের লক্ষ্যে এ প্রতিনিধি দলের সফর। প্রতিনিধি দলটি আজ বিকেলে ঢাকায় একটি হোটেলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীর দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আজকের বৈঠকের পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকার সমঝোতা স্মারকে সই করে। এর পরপরই মালয়েশিয়া আপাতত বিদেশি কর্মী নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে সীমিত সংখ্যক কর্মী নেওয়া হচ্ছে তবে সমঝোতা স্মারকের আওতায় কোনো কর্মী নেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ থেকে ৯৫৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মালয়েশিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এসব রিক্রুটিং এজেন্সিকে কী পদ্ধতিতে রিক্রুটিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হতে পারে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আজকের বৈঠকের পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ছাড়াও এ প্রতিনিধিদলে থাকছেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তায়েব, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক শাহনিয়ার বিন দারুসমান, ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক হাজি মুস্তাফার বিন হাজি আলী, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জেফরি বিন জোয়াকিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব জামিরি বিন মাত জিন, অভিবাসন দপ্তরের পরিচালক খায়রুল খায়ের বিন ইয়াহিয়া, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সহকারী সচিব শাহাবুদ্দিন বিন আবু বকর এবং মানবসম্পদমন্ত্রীর বিশেষ কর্মকর্তা রবার্ট আনাক দাপন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার