শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সাভারে ৩৫ ভাগ ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি (৬৫ ভাগ) ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য কিছু সংখ্যক ট্যানারি শিল্পের কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও সাভারে স্থানান্তরিত ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন এখন আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানির হার বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে রবিবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, হাজারীবাগস্থ ট্যানারি শিল্প কারখানাগুলো সাভারস্থ চামড়া শিল্পনগরীতে পুরোপুরি স্থানান্তরিত না হলেও বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫৪টি ট্যানারির মধ্যে ৫৫টি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সাভারস্থ চামড়া শিল্পনগরীতে ওয়েট ব্লু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। শিগগিরই আরও কিছু ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে পরিবেশ সম্মতভাবে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম ‘কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি)’ স্থাপন করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে সুওয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) ইনটিগ্রেটেড' করে তৈরি করা হয়েছে। ৪টি মডিউলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২টি মডিউলের মাধ্যমে ট্যানারী এ্যাফুলয়েন্ট পরিশোধনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ৩টি ‘কমন ক্রোম রিকভারী ইউনিট (সিসিআরইউ)’-এর মাধ্যমে এফ্লুয়েন্ট থেকে ক্রোম আলাদা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ জুন, ২০১৭/মাহবুব