দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম, খাদ্য সহায়তা ও আশ্রয় দেয়ার সকল চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্রগ্রামে সাম্প্রতিক পাহাড় ধস নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মায়া বলেন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দ সবাই পাহাড় ধসে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ী এলাকায় দুইদিন আগে থেকেই লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। এর মধ্যে গত দুইদিনে সাড়ে চার হাজার লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন যতদিন নিজ আশ্রয়ে ফিরে না যাবেন, ততদিন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খাদ্য সহায়তা বাবদ বান্দরবানে ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা, রাঙ্গামাটিতে ১৮৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও চট্রগ্রামে ২২৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে আহত লোকদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, উদ্ধার কাজ পরিচালনা ও তদারকির জন্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীসহ স্থানীয় সকল এমপিকে নিজ নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, সশস্ত্রবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম