ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন ও শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পানিসম্পদ বিষয়ে ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার্সে বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইপিএসডি); রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় বিবেকানন্দ ভবন উদ্বোধন ও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী বক্তেব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভারতে আমন্ত্রণের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশে নির্মিত রামকৃষ্ণ মিশনের বিবেকানন্দ ভবন ছাত্রাবাসের শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। রামকৃষ্ণ মিশন বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতের উন্নয়নেও এ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ভারত সরকারের আর্থিক অনুদানে প্রতিষ্ঠিত চারতলা বিশিষ্ট বিবেকানন্দ ভবন ছাত্রাবাস শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা করবে ও শিক্ষার্থীরা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে আশা করছি। এ স্থাপনা নির্মাণে আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য আমি ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করা হলো। এ প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত বিভিন্ন উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ওই অঞ্চলের ক্ষুদ্র-মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনশ’র বেশি ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিআইপিএসডিআই এ অঞ্চলের নারীদের বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রকৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের শিল্প খাতের উন্নয়নেও এ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলপিজি রপ্তানির সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। এর ফলে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জ্বালানি চাহিদা পূরণ সহজ হবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম