২০ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:২৪

এমসি কলেজে নববধূকে গণধর্ষণ, অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাইকোর্টে

অনলাইন ডেস্ক

এমসি কলেজে নববধূকে গণধর্ষণ, অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাইকোর্টে

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনার গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক নববধূকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নববধূকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। ওইদিন তিনি জানান, কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ থেকে রক্ষায় অবহেলা ও কলেজ ক্যাম্পাসে অছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের নীরবতায় তাদের বিরুদ্ধে যথযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি ওই ঘটনার দায় নিরূপণ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট একটি কমিটি করে দিয়েছেন। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেস্ট এবং সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) এর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়।

এই কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার অনুসন্ধান করে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে।

এ আদেশ অনুসারে কমিটি ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠায়। সেটি মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর আদালত মামলাটি ১ নভেম্বর কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর