বিএনপি নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সত্যিকার অর্থে পরিশীলিত ভাষায় জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দেওয়ায় ছিল তার প্রধান গুণ। তিনি সব সময় সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতেন। তিনি একজন সফল আইনজীবী, রাজনীতিবিদ হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন ভালো মানের লেখক এবং গবেষক।
আজ বিকালে বিএনপি আয়োজিত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণসভা উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রয়াত এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্য্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবু হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল ও প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা মওদুদ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মওদুদ আহমদ আজীবন অর্থাৎ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিসটা আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ জীবিত থাকবেন তার এলাকার মানুষের কাছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে, বিএনপির কাছে, আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে, সংগ্রামে আন্দোলনের ইতিহাসে।
মওদুদ আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, সত্যিকার অর্থে বলতে কি অত্যন্ত পরিশালীত ভাষায় পরিমত বক্তব্য দেয়া ছিল তার প্রধান গুণ। আমরা তার অতীত থেকে শুরু করে শেষ জীবন পর্যন্ত দেখেছি তার যে সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা- এটা ছিল তার বড় রকমের একটা গুণ। তার শেষ সময়টায় আমার তার খুব কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়েছিল। আমি তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ঋণী তার বিভিন্ন পরামর্শের জন্য। তিনি আমার কাছে একজন অভিভাবক ছিলেন। তার সহধর্মিণী হাসনা মওদুদসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত