দেশের সকল ব্যবসা- বাণিজ্য ও শিল্পখাতের ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সুবিধাসমূহের মেয়াদ করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো না হলে, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপী গ্রাহকে পরিণত হবে। এতে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভীষনভাবে ব্যাহত হবে। ফলে ব্যাংকিংখাতসহ পুরো অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে।
আজ মতিঝিলে বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি এম এ মোমেন, আমিন হেলালী এবং সাবেক পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ।
ওই বৈঠকে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের ব্যবসা-বানিজ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অনিশ্চিত পুনরুদ্ধারের পটভূমিতে ঋণগ্রহীতারা ব্যাংক ঋনের কিস্তি পরিশোধ করার সক্ষমতা হারাচ্ছেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং ঋণের কিস্তি সময়মত পরিশোধ করতে পারছেন না।
এফবিসিসিআই সভাপতি গভর্নরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণের সময়সীমা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং অন্যান্য পলিসি সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসৃত নীতিমালার আলোকে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতিশীলতা এবং বেসরকারি খাতের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাংখিত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সকল ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প খাতের ঋণ বিরূপমানে শ্রেনীকরণ প্রক্রিয়ার সময়সীমা বিনা শর্তে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হোক। সেই সাথে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প তথা এসএমই খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগীতা চান এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন