রাজধানীর পল্টনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রচারণার মিছিল থেকে গ্রেফতার ১০ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-নিষিদ্ধ সংগঠন রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম ও দিপু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্যসচিব মো. আল-আমিন, মো. আব্দুল আলিম ওরফে সোহাগ সিকদার, আরিফ হোসেন ও মো. রবিউল করিম কনক।
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে বিকেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য রাজধানীর পল্টন থানাধীন বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালায়।
এ সময় ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের আশপাশের এলাকা থেকে আটজন আসামিকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়াও এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জন আসামি বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আটক আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই