ফেনী সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা নিয়ে ফেনী-২ নির্বাচনি আসন। এবার এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (ভিপি) ছাড়াও মনোনয়ন চাইছেন দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এদিকে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থানের জানান দিতে একক প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছে বাকি দলগুলো। আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের (মামুনুল হক) কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারি রেজাউল করিম সুজন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ্ উদ্দিন সিফাত ও কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভীর নামও মনোনয়ন প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছেন, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (ভিপি)। এর আগে তিনি এখান থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা চাইছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিগত দিনে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখসারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যারা জেলজুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্য থেকেই যেন প্রার্থী করা হয়।
বসন্তের কোকিলের মতো হাইব্রিড নেতাদের বাদ দিয়ে পরীক্ষিত নেতৃত্ব চাইছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছেন, ফেনী শাসন করা দুই ‘হাজারী’র পতনের পর এ আসনটিতে ভোটাররা এখন এমন একজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাইছেন, যিনি সত্যিকারে জনকল্যাণমূলক কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী জেলার এ আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২১ জন। পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৮৫০ ও নারী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭০।