এক দফার আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে বললেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আন্দোলন আসছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এক দফা আন্দোলন, এই সরকারের পতন। এর বাইরে কোনো পথ খোলা নাই।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি শাহ আবদুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হারুনুর রশীদ, নিলোফার চৌধুরী মনি, খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যালবার্ট পি কস্টা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে কী পাবো, কী খাবো-এটা মাথা থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। কোথায় আছি, কোথায় যাবো, জানি না। কিন্তু পথ চলতে হবে, ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে। তাহলেই আমরা কিছু করতে পারবো। আর যদি পদে পদে সার্টিফিকেট চামফ, পদে পদে যদি স্বীকৃতি চাই, তাহলে আমি-আপনি কিছু করতে পারবো না। নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এতো কথা নয়, একটা দাবি তুলতে হবে- এক দফা। এই সরকারের পদত্যাগ চাই। তাদের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের পাঁচটা ফেরেস্ত দিলে কী হবে, সরকারে যদি একটা শয়তান থাকে। সরকারের শয়তানটা জরুরি তাড়ানো। তারপরে নির্বাচন কমিশন যে হয় হোক। সেখানেও একটা নির্বাচন করার আমাদের সম্ভাবনা থাকবে। সেই কারণেই আজকে আমাদের লড়াইটা কিন্তু সেখানে করবো। জেল দেবে, জুলুম করবে যাতে নির্বাচন করতে না পারি। আমি বলবো, শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করছি, বিএনপির থেকে কে কে নির্বাচন করতে পারবো না, তালিকা পাঠান। তারা নির্বাচন করবে না। আমাদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মীরা নির্বাচন করবে। পার্লামেন্ট বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। যদি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসতে পারেন, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করব। আর যদি জনগন আপনাদের অপছন্দ করে তাহলে তাদেরকে আপনারা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত