বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শর্ত শিথিল করায় উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) প্লাস সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এ কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিশেষ করে জিএসপি প্লাসের একটি অন্যতম শর্ত ৭.৪ শতাংশ ইম্পোর্ট থ্রেশেল্ড থেকে অব্যাহত দেয়া কিংবা এর বিকল্প ফর্মুলা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রস্তাবিত ২০২৪-৩৪ জিএসপি রেগুলেশনে এই ইম্পোর্ট থ্রেশোল্ড শর্তটি বাদ দিয়েছে। ফলে আমরা যখনই অস্ত্র বাদে সব (ইবিএ) ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা হারাই না কেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে আমাদের আর বড় কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের প্রধান রফতানি বাজার। যেখানে আমাদের প্রায় ৬০ শতাংশ রফতানি হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে এই বাজারটিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিবর্তন আসবে। যদিও বর্তমান সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, এরপরও যেন আরও অন্তত ১২ বছর এই সুবিধা (ইবিএল) বহাল রাখা হয় তার জন্য সরকার এবং বিজিএমইএ একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি (শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা) ফেরত পাওয়া সহজ হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা