১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫১

মূলধন বৃদ্ধি ও সংজ্ঞা পরিবর্তন করে সংসদে পর্যটন করপোরেশন বিল উত্থাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মূলধন বৃদ্ধি ও সংজ্ঞা পরিবর্তন করে সংসদে পর্যটন করপোরেশন বিল উত্থাপিত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

১৯৭২ সালের এই আইনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘কেউ নিজের ঘর থেকে ভ্রমণ বা শান্তি বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম সময়ে আরেক জায়গায় থাকবেন তিনি পর্যটক হিসেবে গণ্য হবেন’। 

সংশোধিত বিলে এই সময় এক বছর করা হয়েছে। তবে চাকরির জন্য থাকলে তাকে পর্যটক হিসেবে ধরা হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে হয়েছে।
 
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৬তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের আইনে বর্ণিত বিলটির সংজ্ঞা পরিবর্তনসহ নানা অসঙ্গতি ও পরস্পর বিরোধী বিধান তুলে ধরে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। 

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে ন্যূনতম সময়সীমা থাকলেও, খসড়া আইনে সেটা নেই। তবে আপত্তি অগ্রাহ্য হয়। পরে একমাসের মধ্যে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। পর্যটন করপোরেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। বিলে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সর্বোচ্চ চার জন সদস্য থেকে বৃদ্ধি করে ১১ জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া এই আইনের আওতায় পর্যটন করপোরেশন পরিচালনা করতে বোর্ডকে বিধিমালা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং পর্যটন করপোরেশনের পরিধি বাড়ানোর জন্য আইনটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আইনটি অনুমোদিত হলে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর