হত্যা, গণধর্ষণ, অস্ত্র মামলাসহ ২৬টি মামলার পলাতক আসামি এবং বহুল আলোচিত জলদস্যু ‘গাংচিল-কবির বাহিনী’র মূলহোতা মো. কবির হোসেন (৪৬) ওরফে জলদস্যু কবির ওরফে দস্যু কবির ওরফে গাংচিল কবিরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
রবিবার রাতে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও এক লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কমকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির বাহিনীর মূলহোতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কবির হোসেন ওরফে জলদস্যু কবিরকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করে র্যাব। পরে কবির ৫ মাস ১৬ দিন জেলে থেকে চলতি বছরের গত ১৭ জুন জামিনে বের হয়। জেল থেকে বের হয়ে কবির আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীদের গ্রেফতারে র্যাব-২ মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
সোমবার সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে র্যাব-২ এর একটি দল রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী কবির হোসেন ওরফ জলদস্যু কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ফজলুল হক জানান, কবির বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকার করেন। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত কবির বাহিনী। শীর্ষ সন্ত্রাসী কবিরের নামে রাজধানীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, গণধর্ষণ, অস্ত্র, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, মারধরসহ মোট ২৬টি মামলা রয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ