অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর প্রভাবে উপকূলে শুরু হয়েছে বাতাস ও বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মোখা আরও উত্তর বা উত্তর–পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ রবিবার (১৪ মে) বিকেলের মধ্যেই এটি কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করবে।
এক্ষেত্রে দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী তিন ঘণ্টা চলবে ভয়াবহ তাণ্ডব। তবে সেটি মিয়ানমারের দিকেই বেশি হবে।আজ সকাল পৌনে ১০টায় দেওয়া ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মোখা তাণ্ডবে আজ দুপুর ১২টার পর কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। আর বিকেলের মধ্যে মোখার উপকূল অতিক্রম শেষ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ দিয়ে রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে মোখা। এর কেন্দ্রের ব্যস ৭৫ কিলোমিটার। তাই ঝড়ের কেন্দ্রের কিছু অংশ সেন্ট মার্টিনকে ছুঁয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সকালে সেখানে বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার পেয়েছি। এটা বিকেল ৩টা দিকে হয়তো ১০০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মায়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ