ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক পান্না কায়সারের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পরে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন।
এক শোকবাণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক পান্না কায়সার ছিলেন সারাজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী। তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন গুণী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গ্রন্থ লিখেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সংসদ সদস্য হিসেবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অধ্যাপক পান্না কায়সার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
অধ্যাপক পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক পান্না কায়সার। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত