২৪ মে, ২০২৪ ১৩:৫১

এমপি আনার হত্যায় জিহাদের নামে জামিন অযোগ্য মামলা

অনলাইন ডেস্ক

এমপি আনার হত্যায় জিহাদের নামে জামিন অযোগ্য মামলা

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদার

ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি সঙ্গে জড়িত, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত কোর্টে, তোলা হয়েছে। তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাসের এজলাসে তোলা হয়েছে।

রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের তরফে, নৃশংস হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৩৬৪, ৩০২, ২০১ এবং ১২০বি -এই চার ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটাই জামিন অযোগ্য ধারা। ৩৬৪ অর্থাৎ হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ। ৩০২ অপরাধমূলক নরহত্যা। ২০১ তথ্য লোপাট, অর্থাৎ অস্ত্র এবং দেহ প্ল্যান করে সরিয়ে ফেলা এবং ১২০ বি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়)।  অর্থাৎ এই ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ রায় হিসেবে বিচারক আমৃত্যু যাবজ্জীবন বা মৃত্যু দণ্ড দিতে পারে। রাজ্য পুলিশের তরফে তাকে, একজন দক্ষ কসাই হিসেবে বিচারকের সামনে পেশ করেছে।

তবে পুলিশের এখন মূল উদ্দেশ্য দেহাংশ উদ্ধার করা অথবা দেহাংশ সরাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বা ট্রলি কোথায়, তা জানতে জিহাদকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে(রিমান্ড) চাইবে।

যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলটি বিচারকের সামনে পেশ হয়নি। তবে এ ধরনের অভিযুক্তকে সাত থেকে ১০ দিনের হোফাজতে নিতে পারে পুলিশ, এমনই জানিয়েছেন বারাসাত কোর্টের আইনজীবী এমডি এ জামান।

বৃহস্পতিবার(২৩ মে) বনগাঁও অঞ্চলের গোপাল নগর থানা অন্তর্গত এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন জিহাদ হাওলাদার। সে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত জিহাদ বাংলাদেশি এবং একজন ‘দক্ষ কসাই’। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করছিলেন তিনি। জেরায় জানিয়েছেন, তার নাম জিহাদ হাওলাদার, বাবা জয়নাল হাওলাদার খুলনার বাসিন্দা। দুই মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন।  

জিহাদ জেরায় আরও স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে কীভাবে তিনিসহ আরও চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা ফ্ল্যাটে মরদেহ টুকরো করেন। পরিচয় নষ্ট করার জন্য মরদেহের মাংস কিমা করে পলি প্যাকে রাখেন, হাড় ছোট ছোট টুকরো করেন। তারপর প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেন।

পুলিশ হেফাজতে পেলে ফের একবার তল্লাশি অভিযান চালাবে বলে জানাগেছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর