দারিদ্র্যপীড়িত উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। এই জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাকিয়া সুলতানা জেবিন। তিন ভাই-বোনের সংসারে জাকিয়াই বড়। ২০২২ সালে বাবা স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার পর দিশাহারা হয়ে পরে জাকিয়ার পরিবার।
তবে সেই জাকিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। তিন মাস সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘ তুলে দিয়েছে সেলাই মেশিন। পাশাপাশি নিয়েছে তাঁর লেখাপড়ার দায়িত্ব। জেবিন এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল করে বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাসে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।
তাঁর ছোট ভাই নবম শ্রেণিতে পড়ে এবং এক বোন আছে ছোট। সেলাই মেশিন পেয়ে জেবিন বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল অ্যাডভোকেট হব, কিন্তু অভাবের জন্য তা হয়ে ওঠেনি। এখন আমি টিউশনি করি। বাবা মারা গেছেন ২০২২ সালে।
বাড়িতে মাও অসুস্থ। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন কলেজে যেতে পারি না। কলেজে যেতে গেলে ভাড়া অনেক লাগে। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এখন বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে এই সেলাই মেশিন দিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
টিউশনি করার পাশাপাশি আমি এখন থেকে বাড়তি আয় করতে পারব। এই আয় দিয়ে আর কিছু না হোক নিজের পরিবার ও ছোট ভাই-বোনের খরচটা চালাতে পারব। আর লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব যেহেতু বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়েছে, তাই চিন্তা অনেকটা কমেছে। তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।