ভারতকে এদেশের জনগণের বুকে গুলি চালানো থেকে ফিরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না থাকায় বিগত সরকার ছিল নতজানু সরকার। ওই সরকার আরেক দেশের লোকজনের সাথে মাথা নিচু করে কথা বলতো। এখন থেকে জনগণ যেভাবে কথা বলবে, পররাষ্ট্র নীতি সেভাবে চলবে। আমরা দেশের স্বার্থে অন্য রাষ্ট্রের সাথে চোখে চোখ রেখে, মাথা উঁচু করে কথা বলব। যারা সীমান্তে হত্যাকাণ্ড করছে, তাদের একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। এতদিন আপনারা আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন। এখন আর সেই সুযোগ নেই। এখন কথা বলতে হবে এদেশের জনগণের সাথে। সুতরাং এদেশের জনগণের বুকে গুলি চালানো থেকে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বেশি কিছু চায় না। তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে চায়। তিনবেলা পেট ভরে খেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ একটা মত প্রকাশ করতে গেলে ১০ বার ভাবতে হতো। গান গেয়ে জেল খাটতে হয়েছে। কবিতা লিখে জেল খাটতে হয়েছে। একটি কথা বললে পুলিশ, র্যাব বাসা বাড়িতে হানা দিত। আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আপনারা কুমিল্লার মানুষ শিখিয়েছেন কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়। এই কুমিল্লা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আমার জায়গা রাজপথ। কুমিল্লায় আপনাদের কাছে আসতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। ৫৩ বছরের জঞ্জাল একমাসে সরানো সম্ভব না। তারপরও দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। এবার ত্রাণের চাল চুরির কোনো নিউজ চোখে পড়েনি। বিমানবন্দরে কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে না। ঘুষ বন্ধ হয়ে গেছে। আগামীর বাংলাদেশ চলবে আপনাদের রূপরেখায়। আপনারা প্রস্তাবনা দেবেন, আমরা কেবিনেটে বাস্তবায়ন করব।
শহীদদের তালিকা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের তালিকা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এজন্য কাজ করে যাচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আবদুল কাদেরসহ অন্যান্য সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই