বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে করে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’-এর আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সমর্থক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানস, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ (৪৭), মো. মেহেদী হাসান (৩৪), অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নেত্রকোনার আহ্বায়ক মো. রাহাত ইমাম নোমান (৩৩), মো. আবু বক্কর (৪৯), মো. রিংকু (২১), মো. মাসুদ (৩৭), মো. আফজাল মণ্ডল (৪২), ইব্রাহিম (২৯), মো. আলেক ফরাজী (৪৪), মো. সাইফুল ইসলাম (৪৮), মো. নিজাম উদ্দিন (৩২), সৈয়দ হারুন অর রশিদ (৬০), আব্দুর রহিম (৩০), নুরনবী (৪৫), মো. শহিদ (২৮) ও মোছা. কহিনুর আক্তার (৫০)।
এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাহফজুর রহমান। জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। তাদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিকে, গ্রেফতারের পর বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন। তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাকে আদালতে হাজির করতে হাজতি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি। সুস্থতা সাপেক্ষে তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের একটি সংগঠন। অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি সারা দেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষদের টার্গেট করে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনা সুদে তাদের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার করে টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের ব্যানারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় আনা হয়। তারা বেআইনিভাবে মানুষকে একত্রিত করে শাহবাগ মোড়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
বিডি প্রতিদিন/ইই