বাজারে ডিম ও ইলিশের অতিরিক্ত দামের পেছনে সিন্ডিকেট দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি ও পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি এখনো ১৫০০ টাকার ওপরে থাকায় সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। ইলিশের অতিরিক্ত দামের জন্য সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগী ও দাদন ব্যবসাই দায়ী।
তিনি বলেন, এ বছর ইলিশের প্রজনন হার বেড়ে ৫৪ শতাংশ হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, এ বছর দুর্গাপূজার সময়ে ভারতে তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়। তবে, ভারতে গেছে মাত্র ৬৬৫ মেট্রিক টন।
তিনি আরও বলেন, মাংস, দুধ ও ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যার প্রভাবে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি হয়েছিল। স্বাভাবিকের তুলনায় তখন চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্যই সরবরাহে হস্তক্ষেপ করে। যার কারণে বাজারে বেড়ে যায় দাম।
ফরিদা আখতার বলেন, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকা সত্ত্বেও ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটই দায়ী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির ঘোষণা দেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ডিম আমদানির ফলে দেশের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমদানি করা ডিমের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। এর ফলে পোল্ট্রি শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ইই