শিরোনাম
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
দিনাজপুরে পীরসহ দুজন হত্যা

নজরবন্দি দুজন, তদন্তে কমিটি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার নারী মুরিদকে গুলি করে হত্যার ঘটনার এখনো কোনো মোটিভ খুঁজে পায়নি পুলিশ। তবে জঙ্গি না অন্য কেউ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নিহত নারী মুরিদ রুপালী বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলামকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে, দরবার শরিফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনকে নজরদারিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরা। ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহফুজ জামান আশরাফকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার রাতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউপির দৌলা গ্রামের ওই পীরের কাদরিয়া মোহাম্মদী দরবার শরিফে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (৬৮) দিনাজপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি।

 তিনি বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের দৌলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন। অপরজন নিহত নারী মুরিদ রুপালী বেগম (২৩)। তার বাড়ি বোচাগঞ্জের পাবনাপাড়ায়। সে হোসেন আলীর মেয়ে। ওই পীরের সঙ্গে নিহত নারী রুপালী বেগমের পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কিছুদিন আগে কথিত মুরিদ সিরাজগঞ্জের সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় রুপালী বেগমের। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার পর গতকাল সকাল থেকেই দরবার শরিফে ভিড় জমান কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর মুরিদ ও ভক্তরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।

পরিদর্শনকালে রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি মন্জুরুল কবীর জানান, আমরা দ্রুত সময়ে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব। এলাকাবাসীরা জানান, সোমবার রাতে দরবার শরিফেই ছিলেন ফরহাদ হোসেন চৌধুরী। বিদ্যুৎ চলে গেলে সেখানে কিছু লোক প্রবেশ করে। দরবার শরিফে অসংখ্য মুরিদ ও ভক্ত নিয়মিত মাহফিল ও ধর্মীয় আলাপ-আলোচনা করতেন, যারা সবাই ফরহাদ হোসেন চৌধুরীকে বাবা বলে ডাকতেন। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মালেক হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে কয়েকজনকে মোটরসাইকেলে চলাফেরা করতে দেখেছেন তারা। দরবার শরিফের খাদেম সাইদুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে দরবার শরিফে এসে তারা দেখেন বাবা ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বিছানায় শুয়ে আছেন। তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি হুজুরের রক্ত মাখা লাশ। পাশের কক্ষে গৃহকর্মী রুপালীকেও মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর