‘আর কখনো কারও কাছে কিছু চাইব না। সবাই ভালো থাইকেন, আর আমার জন্য দোয়া কইরেন, ভালো থাইকেন, আর হয়তো কোনো পোস্ট করা হবে না।’ মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো নিজের ফেসবুক আইডিতে এভাবেই লিখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পোশাক শ্রমিক রনি আহমেদ। গতকাল দুপুরে শ্রীপুর থানাধীন চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়া তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রনি স্থানীয় রঙ্গীলাবাজার এলাকার আনোয়ারা নিট কম্পোজিট মিলস লিমিটেডে অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রায় দেড়মাস আগে প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মেয়ে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রনি। তাদের প্রেমের সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে নিয়ে আশ্বাস দিলে বাড়ি ফিরে আসেন তারা। বাড়ি ফেরার ২৬ দিন পর ৬ জানুয়ারি মেয়েটিকে তার অভিভাবকরা অন্যত্র বিয়ে দেন। এরপর থেকে রনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুক্রবার বিকালে রনির ওই সাবেক প্রেমিকা তার স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন।
এ দৃশ্য দেখে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন রনি। রাতে মায়ের হাতের তৈরি পিঠা খেয়ে মধ্যরাতে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। যাওয়ার আগে মাকে বলে যায় আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাব, সজাগ না পেলে আমাকে ডেকে দিও। পরে রনি তার ফেসবুক আইডিতে ওই পোস্ট দেন। গতকাল সকালে ডাকাডাকি করেও রনির কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন দরজার ফাঁকে উঁকি দিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখে।এসআই মিন্টু মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রনির লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে যেকোনো সময়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
