জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, আমরা আশা করছি যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন নাও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। জুলাই সনদ তো সংস্কার। সুতরাং দুটোকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কোনোভাবে সঠিক মনে করি না। বরং এটা জুলাই সনদকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখা উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ও মোবারক হোসাইন। কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায়, ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, গণতন্ত্রকে টেকসইকরণ, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অগ্রগতির বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। আগামী নির্বাচনে কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক দল আসবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
ডা. মো. তাহের বলেন, গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত রয়েছে, যেমন উচ্চ কক্ষে নির্বাচন। উচ্চ কক্ষে নির্বাচন যদি হতে হয় সেটা তো মানুষকে আগেই জানতে হবে। যদি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানতেই পারবে না। উচ্চ কক্ষে পাস হচ্ছে নাকি হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনেই জনগণকে ভোট দিতে হবে। পার্লামেন্ট নির্বাচনে যে হারে ভোট হবে সে অনুযায়ী উচ্চ কক্ষ গঠিত হবে। ভোটের পর জন্ম হবে উচ্চ কক্ষের, কিন্তু কোনো কিছু না জেনেই আপনি নাম রাখতেছেন আগেই ছেলে নাকি মেয়ে। এটা তো উদ্ভট ব্যাপার। সে জন্য আমরা বলছি গণভোট দিতে হবে আগেই। তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণের টেকনিক করে যদি অন্য কিছুর দিকে যাওয়ার চিন্তা হয় তাহলে আমাদের সব নির্বাচনেই এটা চাপ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।