প্রায় ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কর্নেল (অব.) শহীদ উদ্দীন খান এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সংস্থার সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, শিগগিরই তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। তিনি বলেন, তদন্তে মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অনুমোদিত চার্জশিটে কর্নেল (অব.) মো. শহীদ উদ্দীন খান ছাড়াও তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খান এবং তার দুই মেয়ে শেওতাজ মুনাসী খান ও বারিশা পিনাজ খানকে আসামি করা হয়েছে। তিনি পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. শহীদ উদ্দীন খানের অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। কিন্তু শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শহীদ উদ্দীন খান ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অষ্টম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে গত বছর দুর্নীতির আরেক মামলায় কর্নেল (অব.) মো. শহীদ উদ্দীন খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২১ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও একটি মামলায় শহীদ উদ্দীন ও তার স্ত্রী ফারজানা আনজুমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
