বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে অর্থনীতির কঠিন ও করুণ অবস্থা চলছে। এটা শুধু মুখের কথা নয়, সামনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কি না, এটা এখন মানুষের আশঙ্কা। দুর্ভিক্ষের আলামত যদি আমরা দেখতে ও শুনতে পাই, তাহলে তো জনগণ আমাদের ছেড়ে দেবে না। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আবদুল কুদ্দুসের রোগমুক্তি কামনায় দুস্থদের মধ্যে জায়নামাজ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, দলের স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহহিল মাছুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করছে। আমরা বৃহত্তর আদর্শ, মানবিক সাম্য, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছি। আমরা আইনের শাসনের জন্য লড়াই করছি, যার জন্য দরকার চিরায়ত, প্রকৃত ও খাঁটি গণতন্ত্র। এটা বৃহত্তর আদর্শের লড়াই, যেখানে জনগণের মালিকানা জনগণ ফিরে পাবে। সেই মালিকানা আটকে রাখা তো বড় ধরনের ফ্যাসিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া। তিনি আরও বলেন, আজ অসংখ্য গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। মানুষ যদি খাবার কিনতে না পারে তাহলে কিন্তু দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হবে এবং এই আলামত তৈরি হলে কেউই রেহাই পাবে না, আর হাততালি দেবে ওই পতিত ফ্যাসিস্টরা।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যে দোসররা ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে, তাদের সঙ্গে নামমাত্র কিছু প্রতিষ্ঠান একই কাজ করেছে। সরকার ইচ্ছা করলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ করে সেসব প্রতিষ্ঠান চালাতে পারে। গার্মেন্টগুলো যাতে বন্ধ না হয়, সরকার এটাকে নানাভাবে টেকওভার করতে পারে। দোসররা থেকে থাকলে তাদের বিচার করুন; কিন্তু শ্রমিকদের কলকারখানা যেন বন্ধ না হয়। কারণ অর্থনীতির কঠিন করুণ অবস্থা।