বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশে সংকট তৈরি করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলে দিলেন তখনই হত্যাকাণ্ড ও বিব্রতকর এই অবস্থা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘শেখ হসিনার নির্দেশে ২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপরে হামলা এবং হত্যাচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ ও বিপ্লব কুমারকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে’ প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু হারুন, বিপ্লবদের বিরুদ্ধে যে মামলা আমি করেছিলাম, সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা কোথায় আছে, কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তা জনগণকে জানাতে হবে।
ফারুক বলেন, মিটফোর্ডের এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ব্লগার অভিজিৎকে ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেনি। তারেক রহমান বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গত পরশুদিনের এই ঘটনার মূল হোতা কে খুঁজে বের করতে হবে। তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনের বৈঠক এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি চক্রান্ত চলছে।
মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।